করোনার সংক্রমণ রোধে সোশাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে কোতুলপুর হাটের স্থান পরিবর্তন

29th March 2020 বাঁকুড়া
করোনার সংক্রমণ রোধে সোশাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে কোতুলপুর হাটের স্থান পরিবর্তন


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বাঁকুড়া ) : আজ থেকে পরিবর্তন করা হল কোতুলপুর সবজি বাজারের স্থান। নতুন স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হলো কোতুলপুর হাই স্কুল ফুটবল ময়দান।জানা যায়, কোতুলপুর এর আটটি পঞ্চায়েতে প্রায় দু'লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু সেখানে সবজি বাজার বলতে মূলত এই একটি।এবং আগে যেখানে কোতুলপুর এর সবজি বাজার বসতো সেটি মূলত অধিক জনবসতিপূর্ণ এবং একপ্রকার ঘিঞ্জি এলাকা।
এবং অধিক জনগোষ্ঠী হওয়ায় স্বভাবতই গায়ে গায়ে ঘেঁষাঘেঁষি বাজারের মধ্যে প্রায়ই লেগে থাকত। যার কারণে এই জনবসতি বা ঘিঞ্জি এলাকা দূর করতে ও কোতুলপুর বাসীদের কথা মাথায় রেখে এবং মূলত বর্তমান সময়ে "করোনা" প্রকপের হাত থেকে কোতুলপুর বাসীকে সুরক্ষা দিতে,  কোতুলপুর বাজারের মূলকেন্দ্র সরিয়ে এদিন কোতুলপুর হাইস্কুল ফুটবল ময়দানে সবজি বাজার কে স্থানান্তরিত করা হলো। জানা যায়, প্রতিটি দোকান থেকে আরেকটি দোকানের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আজকের এই বাজার বসানো হয়।
এবং ক্রেতারা যাতে দোকান থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারেন তার জন্য দোকানের সামনে এক প্রকার লক্ষণ রেখা টেনে দেয়া হয় কোতুলপুর প্রশাসন, কোতুলপুর ব্লক ও পঞ্চায়েত নেতৃত্বদের সাহায্যে। কোতুলপুর বাসীদের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ও এলাকার নেতৃত্বদের এরকম উদ্যোগকে আজ সাধুবাদ জানালেন বাজার ক্রয় করতে আসা প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ। আজকের এই কোতুলপুর সবজি বাজারের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কোতুলপুর বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ, ওসি রাজীব কুমার পাল, কোতুলপুর এর প্রধান নিতাই নন্দী,  কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রানু সাঁতরা সহ অন্যান্যরা।

ছবি - তৌসিফ আহমেদ 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।